ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দামমেশিন

ধান কাটার মেশিনের দাম কত 2024 | rice reaper binder machine price

ধান কাটার মেশিনের দাম কত-

বাংলাদেশ একটি বৃহৎ কৃষিপ্রধান দেশ, এবং এর প্রধান ফসল হল ধান। ফলস্বরূপ, ঐতিহ্যগতভাবে ধান কাটার জন্য কায়িক শ্রমের প্রয়োজন হয়, যা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ধান কাটার মেশিন পাওয়া যায় যেগুলো কম খরচে এবং অল্প সময়ে ধান কাটা যায়। এই ধরনের মেশিন ব্যবহারে শ্রম ও সময় বাঁচে এবং ফসল কাটার সময় ফসলের ক্ষতি কম হয়। বর্তমানে, বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ফসল কাটার যন্ত্র চালু করেছে, যা কৃষকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।

ধান কাটার জন্য কেমন মেশিন পাওয়া যায়

কৃষকদের চাহিদা এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে ম্যানুয়াল এবং ট্রাক্টর-ভিত্তিক ধান কাটার যন্ত্র সহ বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ধরণের ফসল কাটার যন্ত্র পাওয়া যায়। বিখ্যাত ধান কাটার যন্ত্র

টু-স্ট্রোক রাইস হার্ভেস্টার

এই ধরনের ধান কাটার যন্ত্র প্রধানত টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন ব্যবহার করে এবং আকারে ছোট। এছাড়া ছোট আকারের ধান ক্ষেত কাটার জন্য এই ধরনের মেশিন ব্যবহার করা হয়। এটি হালকা এবং কাজ করা সহজ। এই ধরনের ধানের লন কাটার দৈর্ঘ্য সংকীর্ণ হয়। তাই টু-স্ট্রোক হারভেস্টার ব্যবহার করে ধান কাটার শারীরিক পরিশ্রম কমে যায় এবং কম সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ধান কাটা যায়।

ফোর-স্ট্রোক রাইস হার্ভেস্টার:

 ফোর-স্ট্রোক রাইস হার্ভেস্টার সাধারণত একটি শক্তিশালী ফোর-স্ট্রোক ইঞ্জিন দিয়ে ডিজাইন করা হয়। বড় এবং মাঝারি আকারের ধান কাটার জন্য উপযুক্ত। অতিরিক্তভাবে, টু-স্ট্রোক মডেলের ধারণক্ষমতা বেশি এবং কাটার দৈর্ঘ্য হার্ভেস্টারদের তুলনায় বেশি। ফলস্বরূপ, ধান ক্ষেতের বড় অংশে দ্রুত এবং উল্লেখযোগ্যভাবে কম খরচে কাটা যায়।

কম্বাইন্ড রাইস হার্ভেস্টার: 

কম্বাইন্ড রাইস হার্ভেস্টার একটি অত্যন্ত উন্নত এবং বহুমুখী ধান কাটার যন্ত্র। এই ধরনের মেশিন ব্যবহার করে বৃহৎ এলাকার ধান ফসল সহজেই কাটা যায়। এছাড়াও, কম্বাইন হারভেস্টারের একাধিক কাজ রয়েছে যেমন ফসল কাটা, মাড়াই, তুষ আলাদা করা এবং কাটা ধান পাত্রে সংগ্রহ করা। এই মেশিনটি খুব দক্ষ পদ্ধতিতে খুব দক্ষ কর্মক্ষমতা প্রদান করে।

ধান কাটার মেশিনের দাম কত ২০২৪

প্রযুক্তির দিক থেকে বাংলাদেশ কৃষিতে এগিয়ে। শুধু ধান কাটার কারিগর নয়। জমি চাষ থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত, মাড়াই প্রযুক্তি বাংলাদেশে প্রচলিত। আধুনিক যুগ কৃষিকাজকে সহজ করেছে। এমনকি ফসলের পরিচর্যার ক্ষেত্রেও সঠিক পরিমাণে ওষুধ বা কীটনাশক সরবরাহ করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে ধানক্ষেতের উর্বরতার উন্নতি সাধিত হয়। বিভিন্ন কোম্পানি ধান কাটার অফার দেয়। প্রযুক্তির পার্থক্য এটি কম বা বেশি ব্যয়বহুল করে তোলে। কিছু মেশিনের দাম 15,900 টাকা। কিছু মেশিন 22,350 এর মতো কম দামে পাওয়া যায়। তবে ব্যক্তিগত মিনি মেশিন কম দামে পাওয়া যায়।

ধান কাটার মেশিন

ধান কাটার মেশিনের দাম কত

আদিকালে মানুষ ধান কাটা থেকে শুরু করে সুতা কাটা পর্যন্ত সাহায্য করত। এতে করে ধান কাটার বেশি খরচ বহন করতে হবে। ধান কাটাতে সময় বেশি লাগে। মানুষ 1 দিনে 1 বিঘা জমির ফসল তুলতে পারে না কিন্তু এই মেশিনটি কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফসল তুলতে পারে। ধান কাটার যন্ত্র বা কম্বাইন হার্ভেস্টার বিভিন্ন দেশে তৈরি হয়। তবে ব্র্যান্ডের দিক থেকে জাপান ও চীন সেরা। এই দুই ব্র্যান্ডের মেশিনের দাম অনেক বেশি।

বাংলাদেশে ধান কাটার যন্ত্রের দাম 14,000 টাকা থেকে শুরু হয় এবং দুই-স্ট্রোক ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত, যা বেশ জ্বালানি সাশ্রয়ী। উপরন্তু, বাংলাদেশে ধান কাটার যন্ত্রের দাম মূলত নির্ভর করে মডেল, ইঞ্জিন ক্ষমতা, জ্বালানি ক্ষমতা, মেশিনের ধরন ইত্যাদির উপর। ফোর-স্ট্রোক ইঞ্জিন সহ একটি ধান কাটার যন্ত্রের দাম 26,000 টাকা থেকে 40,000 টাকার মধ্যে। এছাড়াও, কম্বাইন হারভেস্টারের দাম 70,000 টাকা থেকে শুরু হয়।

মিনি ধান কাটার মেশিন

মিনি ধান কাটার মেশিনের দাম কত

সবাই ২০-২৫ লক্ষ টাকায় একটি হারভেস্টার কিনতে পারে না। তাই ধান কাটার জন্য মাইক্রো হারভেস্টার তৈরি করা হয়েছে। খুব কম দামে কেনা যায়। জ্বালানি খরচ কম হবে। তবে অন্যান্য মেশিনের তুলনায় ফসল কাটাতে বেশি সময় লাগে। এই মিনি মেশিনগুলি ভিয়েতনামে তৈরি। এগুলো বাংলাদেশে   আমদানি করা হয়। এবং দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়।

কৃষকদের ফসল তুলতে আরও সময় ও খরচ লাগবে। এই দিকে, এই মিনি রাইস স্লাইসারটি কাজে আসে। ছোট হারভেস্টারের দাম পড়বে 1 লাখ থেকে 70,000 টাকা। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সংগ্রহ করলে মেশিনটির দাম ধরা হয়েছে ১,১৯,০০০ টাকা। মেশিনটির আকার খুবই ছোট। মেশিন চালানোর জন্য কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। এই হারভেস্টার যে কোনো ধরনের জমিতে সহজেই ধান কাটাতে সক্ষম।

ধান কাটার মেশিন দিয়ে ধান কাটার সুবিধা

  • ছোট-বড় উভয় ক্ষেত্রেই ধান কাটতে এই যন্ত্রটি খুবই কার্যকর।
  • এক ঘণ্টায় মেশিন দিয়ে তিন থেকে চার ক্ষেতের ধান কাটতে পারে।
  • ১ ঘন্টায় ৪ লিটার জ্বালানী খরচ।
  • ফসল কাটার সময় এক শতাংশেরও কম ধান নষ্ট হয়।
  • এই মেশিনটি কাদায় কাজ করবে।

ইয়ানমার হারভেস্টারের যে সব সেবা পাবেন-

  1.  PDI (Pre-Delivery Inspection)
  2. Operator Training
  3. On Sport Service
  4.  Modern service & Training Center
  5. Service Campaign
  6.  Harvester Service Apps
  7.  Available Spare Parts
  8.  Service Van
  9.  Smart Assist

ধান কাটার মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে 

মেশিনের ধরন: 

বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ধান কাটার মেশিন পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে কম্বাইন হারভেস্টার, রাইস কাটিং মেশিন, ছোট ধান কাটার মেশিন। অতএব, প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সঠিকটি কেনার জন্য একজনকে মেশিনের ধরণ পরীক্ষা করতে হবে।

মেশিনের কার্যক্ষমতা: 

জমির আকার ও ধানের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে মেশিনের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর, জমির আকার অনুযায়ী ধান কাটার কার্যকর কর্মক্ষমতা পাওয়া যায়।

মেশিনের মূল্য পরীক্ষা: ধান মাড়াই মেশিনের দাম ব্র্যান্ড, মডেল এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।

মেশিনের মূল্য পরীক্ষা: 

ধান মাড়াই মেশিনের দাম ব্র্যান্ড, মডেল এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। অতএব, আপনার বাজেটের মধ্যে একটি ধান কাটার যন্ত্র কিনতে, আপনাকে অবশ্যই মেশিনের মূল্য পরীক্ষা করতে হবে।

কাজের ধরন: 

ধান কাটা, ধান কাটা এবং ধান কাটা সহ বিভিন্ন ধরণের কাজে ধান কাটার যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। অতএব, একটি ধান কাটার যন্ত্র কেনার আগে, আপনাকে অবশ্যই এটির কাজের ধরণ নির্ধারণ করতে হবে।

মেশিনের ধারণক্ষমতা: 

জমির আকার ও ধানের পরিমাণ নির্ণয় করে মেশিনের সক্ষমতা যাচাই করতে হবে। উপরন্তু, বৃহত্তর জমির এলাকা এবং আরও ধান কাটার জন্য, একটি উচ্চ-ক্ষমতার ধান কাটার যন্ত্র বিবেচনা করা উচিত।

মেশিনের গুণমান তৈরি করুন: 

একটি ধান কাটার যন্ত্র কেনার সময়, মেশিনটি প্রিমিয়াম উপকরণ দিয়ে তৈরি, সর্বোচ্চ মানের তৈরি এবং ক্ষেতে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের কঠোরতা সহ্য করতে পারে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।

রক্ষণাবেক্ষণ:

 ধান কাটার মেশিন কেনার সময়, মেশিনটি ব্যবহার করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ কিনা তা পরীক্ষা করা উচিত। উপরন্তু, ergonomic নকশা, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, এবং সঠিক নির্দেশাবলীর মতো বিষয়গুলিও বিবেচনা করা উচিত, যা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারকে সহজতর করবে।

প্রযুক্তির অগ্রগতি ফসল উৎপাদন থেকে ফসল কাটা বা কাটার দিকে নিয়ে যাওয়া সহজ করেছে। বাংলাদেশে ধান কাটার যন্ত্র এসেছে। এই মেশিনের সাহায্যে এক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি বড় ধানের ক্ষেত কাটা যায়। অনেক ধরনের ধান কাটার যন্ত্র পাওয়া যায়। এই দাম মেশিনের উপর নির্ভর করে। ক্ষুদ্র ধান কাটার যন্ত্রটি এমন লোকদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল যারা অল্প পরিমাণে ফসল ফলায়। এতে সময় ও খরচ কমে যায়।

কম্বাইন হার্ভেস্টার মানে বাংলায় ধান কাটার যন্ত্র। ধান কাটার যন্ত্র ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে । এই মেশিনটি অনেক বড়। তবে যারা কম রেঞ্জের বা কম দামের মেশিন কিনতে চান তাদের জন্য রয়েছে মিনি মেশিন। এটা কত টাকা লাগে? এর জ্বালানি খরচ এবং কোথায় কিনবেন তার সমস্ত তথ্য নীচে দেওয়া হল।

শেষ কথ

কম সময়ে ধান কাটার জন্য এই মেশিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ঘণ্টায় বেশ কিছু জমি থেকে ফসল কাটা যায়, ফলে খরচ কম হয়। বাংলাদেশে বহুদিন ধরে মেশিন ব্যবহার হয়ে আসছে। আপনি বাজারে খুব কম দামে ছোট ধান কাটার যন্ত্র কিনতে পারেন। আমি আশা করি আপনি এই নিবন্ধটির মাধ্যমে বাংলাদেশে ধান কাটার মেশিনের দাম জানতে পেরেছেন।  আশ করছি পোস্টটি পড়ার পর আপনি ধান কাটার মেশিন এর দাম জানতে পেরেছেন। আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে বিস্তারিত শেয়ার করেছি। এর রকম বাজার দর নিয়ে আপডেট তথ্য জানতে বাজারদর এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ

Related Articles

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button