ওয়ালটন টেবিল ফ্যানের দাম 2024 || টেবিল ফ্যানের সুবিধা, ব্যবহারের নিয়ম
চার্জার টেবিল ফ্যানের দাম
টেবিল ফ্যানের হলো বাংলার মানুষের কাছে খুবই কাছের একটি জনপ্রিয় সামগ্রী। গ্রীষ্মকালের ভয়াবহ গরম বা বেশি তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় হল ফ্যান। টেবিল ফ্যানে একবার প্লাগিন করলেই ফ্যানের মাথা চারদিকে ঘুরে ঘুরে অনেকজন মানুষকে একসাথে ঠান্ডা বাতাস প্রদান করতে পারে। আজকে আপনাদের সামনে এই অপরিহার্য যন্ত্রটির দাম এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
চার্জার টেবিল ফ্যানের দাম এবং সুবিধা
টেবিল ফ্যানের দাম এবং সুবিধা সম্পর্কে নিচে সংক্ষিপ্ত বিবরণী আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো
টেবিল ফ্যান: একটি সহজ এবং কার্যকরী সরঞ্জাম
টেবিল ফ্যানকে আমরা একটি সহজ এবং কার্যকরী সরঞ্জাম হিসেবে ধরে নেই। কেননা টেবিল ফ্যান ফুটা বিদায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজে স্থানান্তর করা যায়। দূরবর্তী কোন স্থানে বহন করা যায় এবং নির্দিষ্ট দিক অনুযায়ী এটিকে ঘুরিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস অনুভব করা যায়। সহজ এবং কার্যকরী সরঞ্জাম বিদায় এটি অনেক বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বাসা বাড়িতে বা অফিস আদালতে এইসব টেবিল ফ্যান অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
টেবিল ফ্যান এর প্রধান সুবিধাসমূহ
টেবিল ফ্যানগুলোর সুবিধা বলতে গেলে প্রথমে টেবিল ফ্যানকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারিঃ
- টেবিল ফ্যান( রিচার্জেবল সুবিধা নেই)
- রিচার্জেবল টেবিল ফ্যান
শুধু টেবিল ফ্যানের দিকে রিচার্জেবল টেবিল ফ্যানের সুবিধা অনেক বেশি হয়ে থাকে। টেবিল ফ্যানের প্রধান সুবিধা গুলো নিছে দেওয়া হলোঃ
তীব্র তাপমাত্রার গরমে আমাদের শরীর অনেক বেশি অস্বস্তি অনুভব করে। ফ্যানের বাতাস আমাদের শরীরকে এই অস্বস্তি থেকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে যে পরিমাণে লোডশেডিং হয় সে কারণে ফ্যানের বাতাস নেওয়াটাও অনেক বেশি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই লোডশেডিং এর সময় আমরা যাতে ফ্যানের বাতাস পেতে পারি তার জন্য বর্তমান বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি নিয়ে এসেছে রিচার্জেবল টেবিল ফ্যান। রিচার্জেবল টেবিল ফ্যানের মাধ্যমে কারেন্ট চলে গেলেও অনায়াসে তিন চার ঘন্টা আমরা ফ্যানের বাতাস পেতে পারি এবং অস্বস্তিকর গরম থেকে রেহাই পেতে পারি।
টেবিল ফ্যানের সুবিধা গুলোর মধ্যে প্রধান সুবিধাগুলো হলোঃ
টেবিল ফ্যানগুলো ছোট হওয়ায় এগুলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে স্থানান্তর করা যায় যে কোন দিকে মুখ করা যায়। টেবিল ফ্যানগুলো চতুর্দিকে ঘুরে ঘুরে অনেক মানুষকে একসাথে বাতাস দিয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করে সম্ভব গরম থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। টেবিল ফ্যানগুলোর বাতাস সিলিং ফ্যানের তুলনায় বেশি ঠান্ডা হয় কেননা টেবিল ফ্যানের বিপরীত দিকে ইচ্ছেমত যেকোনো দিকে রেখে বাতাস খাওয়া যায়।
চার্জার টেবিল ফ্যানের দাম সম্পর্কে বিবরণ
টেবিল ফ্যানের দাম সম্পর্কে বিবরণ লিখতে গেলে প্রথমে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হল টেবিল ফ্যানের ক্যাটাগরি। বাজারে বিভিন্ন ক্যাটাগরির টেবিল ফ্যান পাওয়া যায়, যেগুলো ক্যাটাগরির ভিত্তিক দাম বিভিন্ন হয়ে থাকে।
টেবিল ফ্যানকে আমরা দুইটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন সাইজের ফ্যানের দাম উল্লেখ করা হলোঃ
টেবিল ফ্যান (AC)
- ছোট সাইজ এর টেবিল ফ্যানঃ ৬০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে দুটো সাইজের টেবিল ফ্যানগুলো কিনতে পাওয়া যায়।
- মাঝারি সাইজের টেবিল ফ্যানঃ ১৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার ভিতরে মাঝারি সাইজের টেবিল ফ্যান গুলো কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো যে কোন ইলেকট্রনিক মার্কেটে আপনারা পেয়ে যাবেন।
- বড় সাইজের টেবিল ফ্যানঃ বড় সাইজের ফ্যানগুলো ৫০০০ থেকে .১০০০০ টাকার ভিতরে কিনতে পারবেন। যেগুলো দিয়ে বিভিন্ন বড় অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতে পারবেন এবং একসাথে অনেক মানুষকে বাতাস দিতে পারবে।
রিচার্জেবল টেবিল ফ্যানের দাম (AC/DC)
- ছোট সাইজের রিচার্জেবল টেবিল ফ্যানঃ ছোট সাইজের রিচার্জেবল টেবিল ফ্যানগুলো আপনাকে সময় এক ঘন্টার মতন সার্ভিস দিয়ে থাকবে। ছোট সাইজের রিচার্জেবল ফ্যানগুলো মূলত সিঙ্গেল ভাবে ব্যবহার করার জন্য। এগুলো বিভিন্ন অনলাইন অথবা অফলাইন মার্কেটে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকার ভিতরে পাওয়া যাবে।
- মাঝারি সাইজের রিচার্জেবল টেবিল ফ্যানঃ মাঝারি সাইজের টেবিল ফ্যানগুলো বাজারে ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার ভিতরে কিনতে পাওয়া যায়। যে কোন ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে এগুলো পেয়ে যাবেন।
- বড় সাইজের রিচার্জেবল টেবিল ফ্যানঃ বড় সাইজের রিচার্জেবল টেবিল ফ্যানগুলো কেনার জন্য আপনাকে ৫০০০ টাকার কম বেশি খরচা করতে হবে। এবং এগুলো গুনে এবং মানে অনেক ভালো হয়ে থাকে এবং প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা আপনাকে লোডশেডিং এর সময় সার্ভিস দিয়ে থাকবে।
টেবিল ফ্যানের ব্যবহারের উপায়
বিভিন্ন ধরনের টেবিল ফ্যান রয়েছে এবং টেবিল ফ্যানগুলো ব্যবহারের প্রায় একই এবং কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। টেবিল ফ্যানের কিছু কমন ব্যবহারের উপায় যে দেওয়া হলঃ
- প্রথমেই ফ্যানের ভিতরে দেওয়া নির্দেশিকা গুলো ভালোভাবে পড়ুন এবং ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- এবং ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করুন ইলেকট্রনিক কানেকশন সবকিছু ঠিক আছে কিনা।
- টেবিল ফ্যান টি সঠিকভাবে স্থাপন করুন যাতে ফ্যানটি স্থির এবং সংরক্ষিত থাকে।
- টেবিল ফ্যান চালানোর আগে সার্কিট বেকার ভালোভাবে চেক করুন এবং নিরাপদে চালু করুন.
- টেবিল ফ্যান ব্যবহার করার সময় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলুন এবং বেশি জোরে প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন.
- টেবিল ফ্যান ব্যবহার সময় সতর্ক থাকুন এবং বাচ্চাদের অথবা প্রাণীদের থেকে দূরে রাখুন।
প্রোডাক্ট কোয়ালিটি এবং দামের সম্পর্ক
টেবিল ফ্যানের প্রোডাক্ট কোয়ালিটি সম্পর্কে জানতে আগে বিভিন্ন ধরনের টেবিল ফ্যান যাচাই-বাছাই করুন এবং কেনার আগে কি করে দেখে নিন। বিভিন্ন মডেলের টেবিল ফ্যান রয়েছে এবং ফ্যানের কোয়ালিটিও ভিন্নতা রয়েছে। তাই ভালোভাবে দেখে শুনে টেবিল ফ্যান কিনুন।
টেবিল ফ্যান এবং সিলিং ফ্যানের মধ্যে পার্থক্য
টেবিল ফ্যান এবং সিলিং ফ্যান দুটি ভিন্ন ধরনের ফ্যান যা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। তাদের মধ্যে কিছু প্রধান পার্থক্য নিম্নে করা হলোঃ
- স্থানঃ সিলিং ফ্যান করা হয় রুমের সিলিং এর সাথে বা চাঁদের নিচের দিকে যেখানে মানুষের উচ্চতা থেকে কিছুটা উপরে হয়ে থাকে। টেবিল ফ্যান একটি টেবিলের উপরে স্থাপন করা যায়।
- আকার এবং কাজের ক্ষমতাঃ সিলিং ফ্যান সাধারণত বড় এবং শক্তিশালী হওয়ায় এটি পুরো রুমের ভালোভাবে বাতাস পৌঁছায়। অন্যদিকে, টেবিল ফ্যান সিলিং ফ্যানের তুলনায় ছোট হওয়ায় কম শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বাতাস পৌঁছায়।
- ব্যবহারের উদ্দেশ্য: সিলিং ফ্যান প্রাথমিকভাবে ঘরের বাতাস পরিপূরক করার জন্য ব্যবহার করা হয়, যেখানে টেবিল ফ্যান করার সময় একটি নির্দিষ্ট স্থানে বা কোনায় বাতাস পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- দাম: সিলিং ফ্যান বৃহত্তর এবং শক্তিশালী হওয়ার এবং উন্নত কমাতা সম্পন্ন হওয়ায় এর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে বিপরীত দিকে টেবিল ফ্যান ছোট ও সহজ ব্যবহার হওয়ায় সাধারণত একটি সস্তা হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে মান এবং গুণের দিক থেকে সিলিং ফ্যানের থেকে টেবিল ফ্যানের দাম অনেক বেশি থাকে।
টেবিল ফ্যান কেনার আগে যেসব বিষয় দেখতে হবে?
টেবিল ফ্যান কেনার আগে অবশ্যই যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবেঃ
১। বাংলাদেশে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন সাইজের টেবিল ফ্যান পাওয়া যায় তাই প্রয়োজন অনুযায়ী টেবিল ফ্যানের সাইজ নির্বাচন করতে হবে।
২। টেবিল ফ্যান কেনার আগে, অবশ্যই ফ্যানটি প্রয়োজন অনুসারে পর্যাপ্ত বাতাস সরবরাহ করতে পারবে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
৩। অধিক লোডশেডিং জনিত অঞ্চলে বসবাস করলে, ব্যাটারি সম্বলিত টেবিল ফ্যান নির্বাচন করতে হবে।
৪। রিচার্জেবল টেবিল ফ্যান কেনার ক্ষেত্রে, ফ্যানটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি দেখেতে হবে। এবং, কতসময় চার্জ হওয়ার পর কতটুকু সময় ব্যাকআপ প্রদান করবে তা বিবেচনায় টেবিল ফ্যান নির্বাচন করতে হবে।
৫। রিচার্জেবল টেবিল ফ্যানের ক্ষেত্রে, কতদিন পর পর টেবিল ফ্যানের ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে তা বিবেচনায় টেবিল ফ্যান নির্বাচন করতে হবে।
৬। মাঝারি ও বড় সাইজের স্ট্যান্ড ফ্যানের ক্ষেত্রে, টেবিল ফ্যানের স্ট্যান্ড কতটুকু সামঞ্জস্যযোগ্য তা বিবেচনা করতে হবে।
৭। টেবিল ফ্যান পরিচালনায় বৈদ্যুতিক খরচ কত হবে তা বিবেচনা করতে হবে। তুলনামূলক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী টেবিল ফ্যান নির্বাচন করতে হবে।
৮। টেবিল ফ্যান কেনার আগে বাজেটের সাথে সাইজ, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি, সর্বোচ্চ গতি ইত্যাদি সর্বোপরি বিবেচনায় টেবিল ফ্যান সংগ্রহ করতে হবে।
বাংলাদেশে টেবিল ফ্যানের চাহিদা কেমন?
বাংলাদেশে কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং এর সমস্যা তুলনামূলক বেশি এবং কম দামে সর্বত্র রিচার্জেবল টেবিল ফ্যান পাওয়া যায় বিধায় বাংলাদেশে টেবিল ফ্যানের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। তাছাড়া, সিলিং ফ্যান এর পাশাপাশি স্বস্তির সাথে কাজ করার জন্য বেশিরভাগ সময় টেবিল ফ্যান ব্যবহার করা হয়।
এটা কেমন হবে
ভালো হবে